কাউনিয়ায় বৃদ্ধ পিতাকে পিঠিয়ে বাড়ী ছাড়া করেছেন স্বজনরা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দীর্ঘদিন ধরে সমাজের কাছে বিচার চেয়ে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে এই অন্যায়ের প্রতিকার চেয়ে, বিজ্ঞ আদালতে মামলা ও জেলা প্রশাসক এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যলয়ে লিখিতঅভিযোগ আনায়ন করেছেন।

মামলা অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে,কাউনিয়া উপজেলাধীন কুর্শা ইউনিয়নের পর্ব চাঁন ঘাট বুড়ীঢোবা গ্রামের বৃদ্ধ দেলোয়ার হোসেন (৬৫) দির্ঘদিন ধরে শশুড়রয় স্থানে থাকেন,দিনে দিনে শ্রম ও মেহেনতের শিখরে দারিদ্র সংসার বিবর্তন হয়।

দাম্পত্য জীবনে তিন সন্তানের জনক হয়ে ওঠেন তিনি, মেহনত করে ছোট্ট ছেলে নাজমুল কে বিদেশে পাঠান, ফিরে আসে দারিদ্র সংসারের স্বচ্ছলতা, কিন্তু সুখ তার কপালে সহিলো না।

বৃদ্ধ দেলোয়ারের মাঝে নেমে আসে অস্বচ্ছলতা, কিডনী জনিত রোগে অসুস্থ এই বৃদ্ধ, হয়ে উঠেন সংসারের বোঝা।

স্ত্রী মজিরন সন্তান মজমুল,নাজমুল,শালক আবু বক্কর,আজিজুল,আবুল হোসেন এবং ছেলের স্ত্রী সাহিদার কাছে শুধু অবহেলিত ও একটি খেলনার পাত্র।

আজ বয়সের ভারে তার জীবনে নেমে আসে নির্মম নির্যাতন,এ বিধুর সহ্য করতে না পেরে তিনি তাবলীক জামায়েত চলে যান, সেখান থেকে অতিব প্রয়োজনিয় সময় অতিক্রম করে বিগত ২৪/০৭/২০২২ ইং তারিখে ঘরে ফিরেন ওই বৃদ্ধ।

এক পর্যায় জানতে পারেন তিনি সংসারের বন্ধগীবাবদ এক লক্ষ পাচ হাজার টাকা ও তার মেয়ের ৪৬ হাজার টাকা তার অবর্তমানে উপরক্ত অভিযোগরা অতি কৌশলে আদায় করে নেয়।এরই প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনি হয়ে উঠেন স্বজনদের ঢাং মাইরের শিখার।

অবশেষে বৃদ্ধ বয়সে ঘড় ছাড়তে হয়,তার জীবনের অবস্থা মতে জীবিকার তাগিতে হয়ে জান তিনি চা দোকানের পরিচারিকা,শেষে অনেক সময় পার করে এই ঘণিখাওয়া সমাজে বিচার চেয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন হতভাগা বৃদ্ধ।দেলোয়ার হোসেন,পরিশেষে দেশের প্রচারিত

আইনের সম্মান জানিয়ে সংবিধান অধীনস্থ ২০১৩ সালের পিতা-মাতা ভরণপোষণ আইনের (৫) ধারা মতে বিজ্ঞ আদালতে মোকাদ্দমা প্রর্থনা করেন। আদালত তার আর্জি আমলে নিয়ে উক্ত মোকাদ্দমা রযু করেন,আদালত অভিযোগক্তদের দুষি সাববস্থ করে ওয়ারেন্ট আদেশ দেয়,এদিকে দেলোয়ার হোসেন আইনের কাছে বিচার চাওয়ায় বিগত ২৪/১০/২০২২ ইং তারিখে বরুয়াহাট চায়ের দোকান থেকে,বৃদ্ধ কে টেনে হেচড়ে বাহির করে হত্যার উদ্দেশে গলা চেপে ধরে,ঘটনা টি দিন দুপুরে অনেকেই দেখেছে,প্রতিবাদে কেউ এগিয়ে আসেনি।

উপরক্ত বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ হয়েছে তদন্ত করে আমি দায়িত্ব দিয়েছি,কুর্শা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

চেয়ারম্যান বলেন এ বিষয় শালিস করেছি কিন্তু ভুক্তভোগীর স্ত্রী আপোষ চাইছে না প্রয়োজন হলে ডির্ভোস দিবো।

উপরক্ত বিষয়েদী নিয়ে কথা হলে অত্র এলাকার বিএনপির ওয়ার্ড সভাপতি মো সোবহান আলী বলেন বিষয়টি খুবেই মনমান্তিক ও খুবেই দুঃখ জনক,চরম মেহনত করে দেলোয়ার হোসেন সংসারটি প্রতিষ্ঠিত করেছেন,বর্তমান তিনি অসুস্থতায় মানবতার জীবন জাপন করছেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকতার আড়ালে ফ্যাসিস্টদের সংঘটিত করার অপচেষ্টা

আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের উরস শরীফ শুরু

কাউনিয়ায় ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের প্রকল্প অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত