কাউনিয়ায় স্কুলছাত্রী মেয়েকে বাঁচাতে বাবার আকুতি।
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
আবার স্কুলে ফিরতে চাই,বাচঁতে চাই, বন্ধুদের সাথে খেলতে চাই, কিন্তু আমি কী পারবো আবার স্কুলে ফিরতে? টাকার অভাবে কি আর আমার চিকিৎসা হবে না, আমি কি আর বাঁচবো না! এমন মর্মস্পশী ভাষাতে সবার কাছে আকুতি জানাচ্ছে কাউনিয়ায় চুলার আগুনে দগ্ধ হওয়া প্রানণাথ চর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় দশম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী মোহনা খাতুন (১৬)।অর্থাভাবে বর্তমানে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।মোহনা খাতুন উপজেলার শহীদবাগ ইউনিয়নের প্রাণনাথ চরের বাসিন্দা দরিদ্র অটোরিকশা চালক ময়নুল ইসলামের কন্যা।
মোহনার বাবা ময়নুল ইসলাম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন তিন মাস আগে রান্না করতে গিয়ে অসাবধনাবসত আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়ের পোষাকে চুলার আগুন লেগে শরীরের ৭৫ ভাগ দগ্ধ হয়ে যায়। আমার সামর্থ্য অনুযায়ী ও ঋণ করে এ পর্যন্ত ৯ লাখ টাকা খরচ করে চিকিৎসা চালিয়েছি। জমি জিরাত যা ছিল সব শেষ। বর্তমানে মেয়ের চিকিৎসা করার মতো আমার কোন সামর্থ্য নেই।
তিনি আরোও বলেন, হাতে এখন আর টাকাপয়সা নেই। চিকিৎসা তো দূরে থাক, সংসার চালানোও এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। মেয়ের শারীরিক অবস্থাও ভালো না।
ডাক্তার বলেছেন প্লাস্টিক ও কসমেটিক সার্জারী করতে তার তিন লাখ টাকার উপরে লাগবে তাই তিনি সরকার ও সমাজের বিত্তবান মানুষের কাছে মেয়ের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য কামনা করেছেন।
প্রাননাথ চর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ জানান, মোহনা একজন মেধাবী ছাত্রী৷সে নিয়মিত স্কুলে আসতেন, কিছুদিন আগে বাসায় রান্না করতে গিয়ে অসাবধান বসত পোশাকে আগুন লেগে দগ্ধ হয়ে যায়, আমরা তার সব সময় খোঁজ খবর রাখছি, এবং আমাদের সাধ্যমত শিক্ষকদের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য করেছি, তিনি আরোও বলেন মোহনার বাবা একজন অটোচালক তার মেয়ের পেছনে চিকিৎসা করে সব শেষ, আরো তিন লাখ টাকার প্রয়োজন তাই তিনি মোহনার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান
মোহনার চিকিৎসা সহায়তায় জন্য যোগাযোগ করতে পারেন- মোবা: ০১৯৮০৭৬৫০০৪ বিকাশ ফোন নম্বর-০১৩২৪০৮৬৯৫৫!
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ আপনাকে স্যার