কাউনিয়ায় অসময়ে তিস্তার ভাঙন আতঙ্কিত নদী পাড়ের মানুষ।

কাউনিয়া(রংপুর) প্রতিনিধিঃ

অসময়ে  রাক্ষুসী তিস্তার ভাঙনে কাউনিয়ার গদাই গ্রামের ফসলী জমি  নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে নদী পাড়ের শতাধিক পরিবার। সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় গদাই গ্রামের আজিজুল ইসলাম (৫৬) শহিদুল ইসলাম(৫৪) আব্দুর রাজ্জাক, ফুল মিয়া(৬৫),আলেফ উদ্দিন (৪৫)জানান  তিস্তা নদীর ভাঙনের কারণে তাদের বসতভিটার কাছে নদী এসে পৌঁচিছে।   তাঁদের প্রায় সব আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে ভূমিহীন হয়ে গেছেন। এখন তাঁদের কোনো আবাদি জমি নেই। নতুন করে তিস্তা  নদীর ভাঙন দেখা দেওয়ায় ঘরবাড়ি ভেঙে  ওয়াবদা বাঁধের উপরে   বসত গড়তে ছুটতে হচ্ছে তাদের কে।

রংপুরের কাউনিয়ায় কয়েক দিন ধরে গদাই গ্রামে তিস্তা নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙন আতংকে নির্ঘুম রাত কাটছে তিস্তার তীরবর্তী গ্রামের  বাসিন্দারা, ইতিমধ্যে ভাঙনে উপজেলার গদাই  গ্রামের অনেক ফসলি জমি আর গাছপালা বিলীন হয়ে গেছে।  তিস্তার ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে  উপজেলার  পাঞ্জর ভাঙা, ঢুষমারা, আরাজী হরিশ্বর, চরহয়বৎখাঁ,আজম খাঁ, চরগনাই,বিশ্বনাথ,হরিচরণ শর্মা, গ্রামের প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। ভাঙনের ভয় আর উৎকন্ঠায় প্রতিটি মুহূর্ত কাটছে এসব গ্রামের মানুষের।  বুধবার  থেকে তিস্তার  কড়াল গ্রাসে গদাই গ্রামের কয়েক শত বিঘা ফসলি জমি, বাঁশঝাঁড়, গাছপালা ও স্থাপনা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে  যাওয়ার ভয়ে আতঙ্কে  কাটছে তাদের দিন। পাঞ্জরভাঙা এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রতি রাতেই ভাঙন আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটে তাদের । গদাই গ্রামের তিস্তা নদী পাড়ের বাসিন্দা  ফকির আলীর  মতো রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার টেপামধুপুর ইউনিয়নের হরিচরণ শর্মা, চরগনাই, হয়বত খাঁ, আজম খাঁ, চর বিশ্বনাথ গ্রামের তিস্তা নদী তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা  সবাই একই আতঙ্কে ভুগছেন। বুধবার  সকালে  তিস্তা নদীর ভাঙন কবলিত ঐ গ্রামগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ভাঙন আতঙ্কে কেউ ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে  , কেউ গাছ কাটছেন।

বুধবার নদী ভাঙন এলাকা গদাই গ্রাম পরিদর্শনে এসে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন গদাই গ্রামে আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙনের গতি কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। আমি সরেজমিনে পরিদর্শনে এসে নদী ভাঙনের ভিডিও প্রধান প্রকৌশলীর নিকট পাঠিয়ে দিয়েছি। তিনি পজেটিভ ভাবে বিষয় টি দেখছেন। আশা করছি বরাদ্দ পাওয়া যাবে। বরাদ্দ পাওয়া গেলে টেন্ডারের মাধ্যমে  নদী ভাঙনে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

  উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিদুল হক জানান, ইতিমধ্যে  ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কাউনিয়া- পীরগাছা এলাকার মাননীয় এমপি  টিপু মুন্সী ভাঙন মোকাবেলার জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বরাবরে একটি ডিও  লেটার প্রদান করেছেন। রংপুর পাউবোর সঙ্গে  যোগাযোগ করেছি। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য  কর্মকর্তারা আশ্বাস প্রদান করেছেন।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কুড়িগ্রামে সাংবাদিকতার আড়ালে ফ্যাসিস্টদের সংঘটিত করার অপচেষ্টা

আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের উরস শরীফ শুরু

কাউনিয়ায় ইসলামিক রিলিফ বাংলাদেশের প্রকল্প অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত