ঝালকাঠিতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় শিক্ষক গ্রেফতার।
ঝালকাঠিতে ১০ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় গুয়াটন হেমায়েত উদ্দিন বিজ্ঞান শিক্ষায়তনের সহকারী শিক্ষক গৌতম মজুমদার (৩৭) কে গ্রেফতার করেছে বরিশাল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের র্যাব-৮।
৮ মে(বুধবার)র্যাব-৮-এর একটি দল পিরোজপুরের লখকাঠি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গৌতম মজুমদার ঝালকাঠি সদর উপজেলার গুয়াটন গ্রামের মৃত:গৌরাঙ্গ মজুমদারের ছেলে, তিনি ঝালকাঠি সদর উপজেলার গুয়াটন হেমায়েত উদ্দিন বিজ্ঞান শিক্ষায়তনের সহকারী শিক্ষক। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল (র্যাব-৮ সিপিএসসি কোম্পানির সিনিয়র এএসপি) ফয়জুল ইসলাম।
এএসপি বলেন, নিজ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে প্রইভেট পড়ানোর ফাঁকে আপত্তিকর ছবি তুলে একাধিকবার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করেন সহকারী শিক্ষক গৌতম মজুমদার। গত ৩ মে সকাল ৭টার সময় ওই শিক্ষার্থী পড়তে গেলে ঘরের ভেতর আটকে রেখে তাকে ধর্ষণ করে শিক্ষক। ধর্ষণের ঘটনা ছবি তুলে ও ভিডিও ধারণ করে রেখে দেন শিক্ষক। ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরতে বিলম্ব হওয়ায় তার পরিবারের লোকজন এসে শিক্ষকের ঘর থেকে তাকে উদ্ধার করে।
৬ মে ঝালকাঠি সদর থানায় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৯(১) ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয় একমাত্র আসামি করে সহকারী শিক্ষক গৌতম মজুমদারকে। এদিকে গৌতম গা ডাকা দিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে প্রচার করে ওই ছাত্রীকে সে সিঁদুর পড়িয়ে বিয়ে করেছে। ভিকটিম ও তার পরিবার আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে, তার ধারণকৃত ভিডিও এবং ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া সহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। উক্ত ধর্ষণের বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যে ও জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের পাশাপাশি বরিশাল র্যাব-৮ একটি দল ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে। র্যাব গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ওই শিক্ষকের অবস্থান নিশ্চিত করে। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ঝালকাঠি সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, থানায় করা মামলায় শিক্ষক গৌতম মজুমদারকে বরিশাল র্যাব -৮ গ্রেফতার করে বুধবার রাতে থানায় হস্তান্তর করেন, ৯ মে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
ধন্যবাদ আপনাকে স্যার